উনি মানুষটা খারাপ নন’— মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ঘনিষ্ঠ মহলে বললেন ভারতী cm vs dsp

উনি মানুষটা খারাপ নন’— মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ঘনিষ্ঠ মহলে বললেন ভারতী

সিআইডি’কে বারবার তীব্র ভাষায় আক্রমণ করছেন ভারতী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ‘নরম’ ভারতী, এমনটাই দাবি অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির।

২০১৪ সালের ডিসেম্বর। তখন সুসময়! তখন তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জঙ্গলমহলের মা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। তারপর কংসাবতী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিআইডি। কিন্তু এখনও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ‘নরম’ সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ। সিআইডি’কে বারবার তীব্র ভাষায় আক্রমণ করছেন ভারতী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ‘নরম’ ভারতী, এমনটাই দাবি অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির। ‘এবেলা’কে ওই ভারতী-ঘনিষ্ঠ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ভারতী সম্প্রতি বলেছেন, উনি (মমতা) মানুষটা খারাপ নন। আমি একবার ওঁর কাছে গেলেই সব ঠিক হয়ে যেত। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরে শাসকদলের এক প্রভাবশালী নেতা আমার বিরুদ্ধে ওঁর কান ভারী করেছেন, ভুল বুঝিয়েছেন।’’
ভারতীর খোঁজ এখনও সিআইডি পায়নি। ভিন রাজ্যে তাঁর খোঁজে যাওয়া গোয়েন্দাদের একাধিক দল ফিরেও এসেছে। ভারতীর আইনজীবী পিনাকী ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘ভারতী ঘোষ বলেছেন, আমি অভিমানে চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। কোনও দলে যোগ দিতাম না। এমন কিছু করতাম না, যাতে শাসকদল বা সরকারের সমস্যা হয়। দেশে-বিদেশে ঘুরতে যেতাম। রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিবাহিনীতে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখতাম। তা-ও কেন আমার বিরুদ্ধে সিআইডি’কে লাগানো হল?’’ 
এই ‘দুঃসময়ে’ তাঁর পাশে না দাঁড়ানোর জন্য রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ অফিসারের বিরুদ্ধে তিনি যে রুষ্ট তা-ও ঘনিষ্ঠ মহলে গোপন করেননি ভারতী। ওই ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার মনে করেন, মুখ্যমন্ত্রীকে যখন বোঝানো উচিত ছিল, তখন ওই শীর্ষ পুলিশ অফিসার কিছুই করেননি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ভারতী মুখ্যমন্ত্রীর ‘অতি ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন। তাহলে ওই নেতার কথাকে মমতা কেন এত গুরুত্ব দিলেন? ওই ভারতী-ঘনিষ্ঠের কথায়, ‘‘তিনি (ভারতী) মনে করেন, পূর্ব মেদিনীপুরের ওই নেতার কথা শোনা না হলে, উনি যে কোনওদিন বিজেপি’তে চলে যাবেন। তা আটকাতে ভারতীকে বলি দেওয়া হলো।’’ পূর্ব মেদিনীপুরে শাসকদলের ওই প্রভাবশালী নেতার এত ক্ষোভ কেন! ভারতী-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ‘এবেলা’কে বলেছেন, ‘‘ভারতীর মতে, ওই নেতা পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিলেন। তাঁর (ভারতী) জন্য তা সম্ভব হয়নি। এখন প্রতিশোধ নিচ্ছেন।’’

Comments