মুকুলকে চাপে ফেলতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি, অতীতের অনুগামী আজকের শত্রু,

মুকুলকে চাপে ফেলতে নির্বাচন কমিশনে চিঠি, অতীতের অনুগামী আজকের শত্রু,

নিজস্ব প্রতিবেদন, এবেলা.ইন | ১৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১৭:১৪:৪৩ | শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১৭:১৩:৩০

মুকুল রায়ের অনুগামী এখন চরম শত্রুর ভূমিকায়। বিজেপিতে যাতে মুকুল যোগ দিতে না পারেন সেজন্য নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়েই ক্ষান্ত থাকছেন না অমিতাভ মজুমদার।

অমিতাভ মজুমদার। মুকুল রায়ের অনুগামী ছিলেন। সারদাকাণ্ডে সিবিআই জেরার পরে যখন মুকুল রায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্ব অনেক অনেক বেড়ে যায় তখন মুকুলের সঙ্গে হাত মেলান বর্ষীয়ান অমিতাভ মজুমদার। তৈরি হয় নতুন দল জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস। সভাপতি করা হয় অমিতাভবাবুকে। এই দল গঠনের আড়ালে যে ‘মেঘনাদ’-এর ভূমিকায় ছিলেন মুকুল তা সর্বজনবিদিত। কিন্তু সম্প্রতি সেই অমিতাভ মজুমদারকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস থেকে। এর পরেই মুকুলকে চাপে ফেলতে সক্রিয় অমিতাভবাবু।
অমিতাভবাবু ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, যাতে মুকুল রায়কে তাঁরা দলে না নেন। অমিতাভ মজুমদার সেই চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও। সেখানে সারদা থেকে নারদকাণ্ডে মুকুল রায়ের যোগাযোগ, বিভিন্ন চিটফান্ড কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আড়াল করার চেষ্টা ইত্যাদি অভিযোগ তুলেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপির লড়াই স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মুকুল রায়কে বিজেপি নিলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলেও লিখেছেন। orrdie dence tote giyi dile tui gopo
এবেলা.ইন-কে অমিতাভ মজুমদার জানিয়েছেন, কোনও রকম নিয়মের তোয়াক্কা না করে তাঁকে জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনেও তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, যে চিঠি দিয়ে কমিশনের কাছে দলের নতুন কমিটির কথা বলা হয়েছে তার কোনও গুরুত্ব নেই। আরও অভিযোগ, ‘‘যাঁরা এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন তাঁরাই আগে ঘোষণা করেছিলেন যে জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে গিয়েছে।’’ এত্ত এত্ত এত্ত বেশি ভালো লাগছে যে শেয়ার...
ওই চিঠি নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি অমিতাভ মজুমদার। নির্বাচন কমিশনকে জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কমিটির পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে ওই দলের সঙ্গে মুকুল রায়ের কোনও সম্পর্ক নেই। এই প্রসঙ্গ তুলে অমিতাভবাবুর কটাক্ষ, ‘‘এটাকে বলে ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি তো কলা খাইনি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘উনি যে দলের পিছনে ছিলেন ও রয়েছেন এটাই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।’’



Comments